ছেলেদের ত্বক ফর্সা করা কার্যকরি উপায়

 ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার কার্যকরি উপায়


ছেলেদের ত্বক ফর্সা করা কার্যকরি উপায়

 

কোনো বাড়তি ক্রিম কেনার ঝামেলা ছাড়াই। ঘরে বসে কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করে। 

     

(১) ফেসওয়াশ ব্যবহার করা 

    
   মুখে সাবান ব্যবহার করা উচিৎ নয় কারণ সাবানে ক্ষতিকর ক্যমিকেল থাকে যা মুখের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর এছাড়া সাবান ব্যবহারে মুখের ব্রণ বেড়ে যেতে পারে। প্রতিদিন ২ বার ফেসওয়াস ব্যবহার করবেন এতে মুখের ডেডসেল বের হয়ে যাবে এবং আপনি ফর্সা হতে শুরু করবেন। খেয়াল রাখবেন ফেসওয়াসে ক্ষতিকর কোনো উপাদান যেন না থাকে। সবথেকে ভালো হয় আয়ুর্বেদিক  উপাদান রয়েছে এমন ফেসওয়াস ব্যবহার করা।
Himalaya,  Patajali এসব ব্র‍্যান্ডের ফেসওয়াস ব্যবহার করলে ভালো হয়। কারণ এগুলো আয়ুর্বেদিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়।  

 

   

 



(২) মসচারাইজার ব্যবহার করা 


  মুখে মসচারাইজার ব্যবহার করা অবশ্যই উচিত কারণ মসচারাইজার -
১. শুষ্কতা রোধ করা।
২. বয়েসের ছাপ কমানো।
৩. ব্রণর সাথে লড়াইয়ে সহায়ক।
৪. সূর্যের থেকে সুরক্ষা। 
৫. স্কিনকে স্মুদ বা প্রশমিত রাখা।
৬.  আরও অনেক কিছু।  

মসচারাইজার ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন।  ঠিক তেমনি এলোভেরা খুব ভালো  মসচারাইজার এর কাজ করে। 



(৩) বাইরে মাস্ক ব্যবহার করুন 


 মাস্ক ব্যবহার করা এই মহামারীতে তেমন নতুন কিছু না।  মাস্ক ব্যবহার করলে বাইরের ধুলাবালি থেকে নিজের মুখকে  রক্ষা করতে পারবেন। আপনি স্টাইলিশ মাস্ক পড়তে পারেন। 


 







(৪) মুলতানি মাটি ব্যবহার করা            


মুলতানি মাটি মুখে সরাসরি ব্যবহার করা যায়।  মুলতানি মাটি যেহেতু একপ্রকার মাটি এতে ক্ষতিকর কিছুই নেই। যেকোনো দোকানে এটি পাওয়ায়।  এটার দাম মাত্র ৫০ টাকা।  

যেভাবে ব্যবহার করবেন  —

১ চামচ মুলতানি মাটির সাথে ২ চামচ গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট এর মত বানিয়ে নিন।  তারপর এটি আপনার মুখে লাগান।  এটি সপ্তাহে ২ - ৩ দিন ব্যবহার করবেন। যেদিন লাগাবেন তার পরের ২ দিন লাগাবেন না। মুখে লাগানোর থেকে ২ দিন পর আবার ব্যবহার করেন এতে ভালো রেজাল্ট পাবেন।      


              

(৫) পানি 


সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে পানি খেতে থাকলে একদিকে যেমন দেহের ভেতরে পানির ঘাটতি দূর হয়, তেমনি শরীরের ভিতরে নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে ড্রাই স্কিনের সমস্যা তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বাড়তে শুরু করায় স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ফর্সা ত্বকের অধিকারী হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হয়।





(৬) সানস্ক্রিন ব্যবহার করা  

সূর্যের আলোতে থাকে ইউ ভি-এ, ইউ ভি-বি, ইউ ভি- সি এই তিন ধরণের ক্ষতিগ্রস্ত রশ্মি। এর থেকে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয় যেমন- ত্বকে কালো ছোপ পরে যাওয়া, অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা দেখা দেওয়া, এমনকি এই রশ্মির প্রভাবে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। ত্বক পাতলা হয়ে যেতে থাকে, ত্বকের মসৃণতা কমে যায়, টানটান ভাব কমে যায়, আরও অনেক সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে এলারজি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যা হওয়ার থেকে নিজেকে প্রটেক্ট করা যায়। আসলে সানস্ক্রিনে থাকা এস পি এফ আমাদের ত্বককে প্রটেক্ট করে সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি থেকে।অনেকক্ষণ সূর্য তে থাকলে ত্বক কালো হয়ে যায়।    





Previous Post Next Post